নিজেস্ব প্রতিবেদক :  রাজশাহীতে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা অভিযোগ করে বলেছেন, অর্থ আত্মসাতের  অভিযোগ তুলে রাজশাহী আইনজীবী সমিতির ১৬ আইনজীবীকে সাময়িক বরখাস্ত ও আদালতে মামলা পরিচালনায় বিধি নিষেধ আরোপ করা সম্পূর্ণ বেআইনী, বিধি বহির্ভূত ও সংবিধান পরিপন্থী।

অভিযুক্ত আইনজীবীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো প্রকার সুযোগ না দিয়ে একতরফাভাবে তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে এবং আদালতে মামলা পরিচালনায় অব্যাহতভাবে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে।

তারা অবিলম্বে আইনজীবীদের বরখাস্তের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানান। একইসঙ্গে আদালতে মামলা পরিচালনায় বাধা সৃষ্টি না করার জন্য সমিতির বর্তমান নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান।
গতকাল নগরীর একটি রেস্টুরেণ্টে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে আইনজীবীরা এসব কথা বলেন। এতে লিখিত বক্তব্য দেন রাজশাহী আইনজীবী সমিতির কল্যাণ তহবিলের সাবেক চেয়ারম্যান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের রাজশাহী শাখার সভাপতি এরশাদ আলী ঈশা।

উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও কল্যাণ তহবিল স্ট্যান্ডিং কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মোজাম্মেল হক, সাবেক সাধারণ অ্যাডভোকেট এনামুল হক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জমসেদ আলী-১, মাইনুল আহসান পান্না, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (কল্যাণ তহবিল) পারভেজ তৌফিক জাহেদী প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বরখাস্তের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনজীবীরা রাজশাহী বার কাউন্সিলে আপিল করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী আইনজীবী সমিতির এক বিশেষ সাধারণ সভায় ১৬ জন আইনজীবীকে সমিতির কল্যাণ তহবিল থেকে বরখাস্ত করা হয়।

বিএনপিপন্থী এসব আইনজীবী ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বার সমিতির নেতৃত্বে ছিলেন। সে সময় বার সমিতির কল্যাণ তহবিলের ১ কোটি ২৮ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ টাকা আত্মসাত করার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে কল্যাণ তহবিল স্ট্যান্ডিং কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ইশা বলেন, তারা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

সামনে বার সমিতির নির্বাচন, আর এই নির্বাচনে যাতে আমরা অংশগ্রহণ করতে না পারি সে জন্য আমাদের নেতৃস্থানীয় সিনিয়র আইনজীবীদের ফাঁসিয়ে ৩ বছরের জন বরখাস্ত, কল্যাণ তহবিলের সদস্য পদ বাতিল/কর্তন করার মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এটি একটি একতরফা সিদ্ধান্ত।

রাজশাহীর সময় ডট কম –  ২৬  ফেব্রুয়ারী ২০১৯